ব্যাঙ এবং ষাঁড়ের গল্প।। রূপকথার সেরা 100 টি গল্প।শিক্ষণীয় ছোট গল্প। বুদ্ধির কাহিনী। বাংলা ছোট গল্প। রূপকথার কাহিনী। শিক্ষণীয় ছোট গল্প। হাসির গল্প।
একটি ব্যাঙ তার তিন সন্তান নিয়ে বনের একটি নদীর তীরে বাস করত। চারজনের জগৎ বন আর নদীতেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরের জগতের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
খাওয়া-দাওয়া করতে করতে খুব আরাম-আনন্দে কাটছিল তার জীবন। ব্যাঙটি সুস্থ ছিল। তার সন্তানদের কাছে তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী। তিনি প্রতিদিন তাদের সাহসিকতার গল্প শোনাতেন এবং তাদের প্রশংসা পেয়ে ফুলে উঠতে পারতেন না।
একদিন ব্যাঙের তিনটি বাচ্চা ঘোরাঘুরি করতে করতে জঙ্গলের কাছে একটি গ্রামে পৌঁছে গেল। সেখানে তিনি একটি মাঠে একটি ষাঁড় চরাতে দেখেন। এত দৈত্যাকার প্রাণী সে আগে কখনো দেখেনি। ওরা একটু ভয় পেলেও ওর বিশাল শরীরের দিকে তাকিয়ে রইল। তখন ষাঁড়টি (ষাঁড়) গর্জন করে এবং ব্যাঙের তিনটি বাচ্চাই ভয়ে পিছন দিকে দৌড়ে তাদের ঘরে আসে।
@@
বাচ্চাদের ভয় পেয়ে ব্যাঙটি কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ষাঁড় সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়, “আজকের আগে এত বড় প্রাণী আমরা দেখিনি। আমরা মনে করি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী আপনি নন, তিনিই।"
বাচ্চাদের কথা শুনে ব্যাঙের খারাপ লাগলো। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, "সেই প্রাণীটি দেখতে কেমন ছিল?"
“তার চারটি বড় পা ছিল। এর একটা লম্বা লেজ ছিল। দুটি সূক্ষ্ম শিং ছিল। শরীরটা এত বড় যে তোমার শরীর এর সামনে কিছুই নেই। শিশুরা কথা বলল।
এই কথা শুনে ব্যাঙের অহংকার খুব কষ্ট পেল। তিনি একটি গভীর শ্বাস নিলেন এবং বাতাসে ভরে শরীরকে স্ফীত করলেন। তারপর বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলেন, "সে কি এত বড় ছিল?"
"এর চেয়ে অনেক বড় নয়।" শিশুরা কথা বলল।
ব্যাঙটা একটু বেশি বাতাস নিঃশ্বাস নিয়ে শরীর ফুলিয়ে বলল, "এতো বড়?"
@@
"না আর বড়।"
ব্যাঙ কখনো বনের বাইরে পা দেয়নি। ষাঁড়ের আকার সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু সে যেন একটা জেদ নিয়েছিল যে সে যেন তার সন্তানদের সামনে নিজেকে হেয় না করে।
তিনি একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে তার শরীরে প্রচুর বাতাস ভরতে লাগলেন। তার ছোট্ট শরীরটা বলের মত গোল হয়ে গেল। কিন্তু তাতেও তিনি থেমে থাকেননি। তার শরীর বাতাসে ভরে যেতে থাকে। সে তার শরীরে এতটাই বাতাস ভরেছিল যে তার শরীর তা সামলাতে না পেরে বিস্ফোরিত হয়। তার অহংকারে ব্যাঙের প্রাণ উড়ে গেল।
পাঠ
অহংকার পতনের কারণ।