রক্ষাবন্ধনের গল্প
রক্ষাবন্ধনের গল্প
শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রক্ষাবন্ধন উৎসব। ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে এই দিনে রাজা বলির অহংকার চূর্ণ করেছিলেন। তাই এই উৎসব 'বালেভ' নামেও বিখ্যাত। এই উৎসবটি মহারাষ্ট্র রাজ্যে নারিয়াল পূর্ণিমা বা শ্রাবণী নামে পরিচিত। এই দিনে মানুষ নদী বা সমুদ্রের তীরে গিয়ে তাদের পবিত্র সুতো বদল করে সমুদ্রের পূজা করে।
@@
রক্ষা বন্ধন সম্পর্কিত আরেকটি পৌরাণিক কাহিনীও বিখ্যাত। দেবতা ও অসুরদের যুদ্ধে দেবতারা পরাজিত হলে দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে গেলেন। দেবতাদের ভয় পেয়ে ইন্দ্রানী তাদের হাতে রক্ষাসূত্র বেঁধে দেন। এতে দেবতাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং তারা অসুরদের জয় করেন। তখন থেকেই শুরু হয় রাখি বাঁধার প্রচলন। দ্বিতীয় বিশ্বাস অনুসারে, ঋষিদের শিক্ষার পূর্ণ নৈবেদ্য এই দিনে সংঘটিত হত। তারা রাজাদের হাতে রক্ষাসূত্র বেঁধে রাখতেন। তাই আজও ব্রাহ্মণরা তাদের মেজবানকে রাখি বাঁধেন।
@@
ভাই বোনের নির্মল ভালোবাসার প্রতীক রক্ষা বন্ধন উৎসব। এই দিনে বোন তার ভাইকে ভালোবাসায় রাখি বেঁধে তাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানায়। ভাই তার সামর্থ্য অনুযায়ী বোনকে উপহার দেয়। ভাই বোনের চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকে অতীত শৈশবের পলকের স্মৃতি। সত্যিই, রক্ষা বন্ধনের উৎসব প্রতিটি ভাইকে তার বোনের প্রতি তার কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।
@@
রাখির এই সুতোগুলো অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। চিতোরের রানী মা কর্মবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনকে রাখি পাঠিয়ে তার ভাই বানিয়েছিলেন এবং তিনিও সংকটের সময় তার বোন কর্মবতীকে রক্ষা করতে চিতোরে এসেছিলেন। আজকাল বোন ভাইকে রাখি বাঁধে এবং ভাই বোনকে কিছু উপহার দিয়ে তার দায়িত্ব পালন করে। মানুষ ভুলে গেছে রাখির সুতোর সাথে মনের পবিত্র অনুভূতির সম্পর্ক