উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | HS History Question and Answer
প্রিয় ছাত্র ছাত্রী,
তোমাদের সবাই কে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম || আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয়
অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর || যা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত উচ্চমাধ্যমিক টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে || তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক
প্রশ্ন ও উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়ে নাও ||
1. কোন্ চার্টার আইনে ভারতে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তর:- ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অবসান হয় এবং অন্য যে-কোনো ব্রিটিশ কোম্পানির নিকট ভারতে বাণিজ্যের দরজা খুলে যায়।
2. নানকিং-এর সন্ধির দুটি শর্ত লেখো।
উত্তর:- প্রথম আফিম যুদ্ধে পরাজিত হয়ে চিন ব্রিটিশদের সঙ্গে অপমানজনক নানকিং-এর সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য হয়। এর দ্বারা—(ক) ক্যান্টন, সাংহাই, অ্যাময়, ফুচাও, নিংগপো—চিনের এই পাঁচটি বন্দর ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্য ও বসবাসের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয়, (খ) এই বন্দরগুলিতে ইউরোপীয়রা নিজস্ব কনসাল নিয়োগের অধিকার পায়; (গ) হংকং বন্দর চিরকালের জন্য ইংরেজদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়; (ঘ) ‘কো-হং’ প্রথা বাতিল হয়।
3. আলিনগরের সন্ধি কত খ্রিস্টাব্দে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর:- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি সিরাজ-উদ্-দৌলা ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে আলিনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির দ্বারা ইংরেজ কোম্পানি বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্য, দুর্গ নির্মাণ ও নিজ নামাঙ্কিত মুদ্রা প্রচলনের অধিকার পায়। এর ফলে কোম্পানির প্রভাব-প্রতিপত্তি ও তাদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।
4. কোন্ ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা জমিদারদের জমির উপর মালিকানা স্বত্ব দিয়েছিল?
উত্তর:- ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সুবায় লর্ড কর্নওয়ালিস কর্তৃক প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত জমিদারদের জমির উপর মালিকানা স্বত্ত্ব প্রদান করেছিল। এই অধিকার বলে জমিদার রাজস্ব প্রদানে অক্ষম কৃষককে তার জমি থেকে উৎখাত করে তার জমি দখল করে নিতে পারত এইভাবে স্বাধীন কৃষক ক্রমে ভূমিহীন কৃষি-শ্রমিকে পরিণত হয়।
5. কে, কবে পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন?
উত্তর:- বড়োলাট লর্ড ডালহৌসি ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে পাঞ্জাব রাজ্যটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। পাঞ্জাবে প্রথম ব্রিটিশ প্রশাসক নিযুক্ত হন হেনরি লরেন্স।
6. সর্বশেষ চার্টার অ্যাক্ট কবে প্রবর্তিত হয়?
উত্তর:- ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে সর্বশেষ চার্টার অ্যাক্ট প্রবর্তিত হয়।
7. কোন্ আইন দ্বারা কলকাতায় সুপ্রিমকোর্ট (১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে) স্থাপিত হয়?
উত্তর:- ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং অ্যাক্টের দ্বারা ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট স্থাপিত হয়।
৪. পলাশির লুণ্ঠন বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- পলাশির যুদ্ধের পর মসনদে বসে মিরজাফর লর্ড ক্লাইভ ও অন্যান্য ইংরেজ কর্মচারীদের প্রায় ১.৭০ কোটি টাকা ও অন্যান্য উপঢৌকন দান করেন। বাৎসরিক প্রায় দেড় লক্ষ পাউন্ড আয়ের জমিদারি কোম্পানিকে ছেড়ে দিতে হয়। ফলে রাজকোশ শূন্য হয়ে যায় এর ওপর কোম্পানি ও তার কর্মচারীরা ব্যক্তিগত বাণিজ্য ও অন্যান্য উপায়ে বাংলার আর্থিক সম্পদ শোষণ করতে থাকে। এই অবস্থাকে ‘পলাশির লুণ্ঠন’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
9. ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি কে ছিলেন?
উত্তর:- ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এলিজা ইম্পে।
10. সূর্যাস্ত আইন বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে বলা হয় যে, প্রতি বাংলা বছরের শেষ দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে জমিদার বা তালুকদারকে তাদের প্রদেয় রাজস্ব পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় তার সমগ্র জমিদারি বা জমিদারির অংশ বিশেষ সরকার বাজেয়াপ্ত করে নেবে। এই বিধি ‘সূর্যাস্ত আইন’ নামে পরিচিত।
11. ক্যান্টন বাণিজ্য কাকে বলে?
উত্তর:- ‘স্বর্গীয় সাম্রাজ্যের অধীশ্বর’ চিনের মাঞ্জু রাজবংশ বিদেশিদের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ ত্যাগ করে চলত, অন্যদিকে ইউরোপীয় জাতিগুলি চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে বদ্ধ পরিকর ছিল। এমতাবস্থায় চিনের আদালত ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে এক নির্দেশনামার দ্বারা একমাত্র ক্যান্টন বন্দরকেই বিদেশি বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত বলে ঘোষণা করে। এইভাবে ক্যান্টন বন্দরকে কেন্দ্র করে চিনে বিদেশিদের যে এক-বন্দরকেন্দ্রিক বাণিজ্যপ্রথার সূচনা হয়, তা-ই ‘ক্যান্টন বাণিজ্যপ্রথা' নামে পরিচিত।
12. ভারতে কবে রেলপথ প্রথম স্থাপিত হয়?
উত্তর:- বড়োলাট লর্ড ডালহৌসির উদ্যোগে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত ২১ মাইল রেল যোগাযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়।
13. 'দস্তক’ কী?/ফারুকশিয়ারের ফরমান বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- ‘দস্তক’ হল এক ধরনের বাণিজ্যিক ছাড়পত্র। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ফারুকশিয়ারের ফরমানে প্রাপ্ত এই অধিকার বলে কোম্পানি ‘দস্তক’ বা ছাড়পত্র দেখিয়ে বাংলায় বিনাশুল্কে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য চালাতে পারত।
14. ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর:- (ক) ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অবসান হয় এবং অন্য যেকোনো ব্রিটিশ কোম্পানির জন্য ভারতে বাণিজ্যের দরজা খুলে যায়; (খ) এই আইনের ২৯ নং ধারায় বলা হয় যে, এখন থেকে ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য কোম্পানি বছরে অন্তত এক লক্ষ টাকা ব্যয় করবে। ভারতে ইংরেজ শাসনে এটাই প্রথম শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্দ।
15. কোন্ দুটি স্থানের মধ্যে ভারতে প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়?
উত্তর:- ১৮৫৩ সালে বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত ২১ মাইল দুরত্বে ভারতের প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়।
16. স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেন?
উত্তর:- বড়লাট লর্ড ডালহৌসি ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যগ্রাসী স্তত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন।
17. চিনে মুক্তদ্বার নীতি কে প্রবর্তন করেন?
উত্তর:- মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে চিনে মুক্তদ্বার নীতি (open door policy) ঘোষণা করেন।
18. কাও-তাও প্রথা কী ?
উত্তর:- চিনা সম্রাটের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্রের বশ্যতা প্রকাশস্বরূপ নজরানা প্রদানকারী রাষ্ট্রগুলির দূতেরা চিনা প্রথা অনুযায়ী তিনবার নতজানু হয়ে নয়বার মাথা ঠুকে সম্রাটকে অভিবাদন জানাতেন। এই প্রথা ‘কাও-তাও’ প্রথা নামে পরিচিত।
19. কবে এবং কাদের মধ্যে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর:- ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
20. গ্যারান্টি ব্যবস্থা কাকে বলে ?
উত্তর:- ভারতে রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার ‘গ্যারান্টি প্রথা’র প্রবর্তন করে। এই প্রথা অনুযায়ী বেসরকারি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে তাদের বিনিয়োগকৃত মূলধনের ওপর শতকরা পাঁচ টাকা হারে সুদ বা ভরতুকি প্রদানের গ্যারান্টি দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চালু ছিল।
21. 'অন্ধকূপ হত্যা’ কী ?
উত্তর:- ইংরেজ কর্মচারী হলওয়েল অভিযোগ করেন যে, সিরাজ-উদ্-দৌলা ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন কলকাতা দখল করার পর বন্দি ১৪৬ জন ইংরেজ সৈন্যকে একটি ১৮ ফুট লম্বা ও ১৪ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়া ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ বিহীন ঘরে আটক করে রাখেন। পরদিন গরম ও শ্বাসকষ্টে ১২৩ জন সৈন্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনাকে ‘অন্ধকূপ হত্যা’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে ঐতিহাসিকরা একমত নন।
22. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে কী উদ্দেশ্যে স্থাপিত হয়?
উত্তর:- বড়োলাট লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ২৪ নভেম্বর কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপন করেন। উদ্দেশ্য ছিল—ভারতে ক্রমবর্ধমান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রয়োজনে ভারতীয় ভাষা, আইন, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ইংরেজ সিভিলিয়ানদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এই উদ্দেশ্যে স্থানীয় পন্ডিতদের এই কলেজে অধ্যাপকরূপে নিযুক্ত করা হয়।
23. অধীনতামূলক মিত্ৰতা নীতি কী?
উত্তর:- ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি—প্রবর্তিত অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির মূল বক্তব্য হল কোনো দেশীয় রাজ্যের রাজা ইংরেজদের সঙ্গে মিত্রতায় আবদ্ধ হলে—(ক) ইংরেজরা ওই রাজ্য বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও অভ্যন্তরীণ প্রতিবিপ্লব থেকে রক্ষা করবে; (খ) বিনিময়ে ওই রাজা তাঁর রাজ্যে একদল ইংরেজ সৈন্য রাখতে ও তার ব্যয়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবেন; (গ) ওই রাজার দরবারে একজন ইংরেজ রেসিডেন্ট থাকবেন এবং (ঘ) কোম্পানির বিনা অনুমতিতে ওই রাজা অপর কোনো শক্তির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন কিংবা যুদ্ধ-বিগ্রহ করতে পারবেন না।
24. ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দের বিপ্লব বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- ওলন্দাজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগে ইংরেজ গভর্নর ভ্যান্সিটার্ট ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মিরজাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং মিরজাফরের জামাতা মিরকাশিমকে সিংহাসনে বসান। বিনা রক্তপাতে বাংলায় ক্ষমতার এই হস্তান্তর ‘১৭৬০ খ্রিস্টাব্দের বিপ্লব’ নামে পরিচিত।
25. সিরাজ-উদ্-দৌলার সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধের দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর:- ইঙ্গ-সিরাজ বিরোধের প্রধান কারণ হিসেবে—(ক) সিংহাসনে আরোহণের সময় কোম্পানি কর্তৃক তাঁকে কোনোরূপ উপঢৌকন প্রেরণ না করা; (খ) নবাবের নির্দেশ অমান্য করে কলকাতায় ইংরেজদের বলপূর্বক দুর্গ নির্মাণ; (গ) নবাবের অসৎ কর্মচারী কৃষ্ণদাসকে কলকাতায় আশ্রয় দান ও নবাবের হাতে প্রত্যর্পণে অস্বীকার; (ঘ) দস্তকের অপব্যবহার; (ঙ) নবাবের আত্মীয় স্বজন ও পারিষদবর্গের সঙ্গে নবাব-বিরোধি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া—প্রভৃতিকে দায়ী করা যায়।
26. পলাশির বিতর্ক বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- পলাশির যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সাম্প্রতিককালের ঐতিহাসিক পি. জে. মার্শাল, রজতকান্ত রায়, ব্রিজেন গুপ্ত প্রমুখ মুর্শিদাবাদ দরবারে অভিজাতবর্গের সিরাজ-বিরোধী ষড়যন্ত্র, কোম্পানির বলপূর্বক দুর্গ নির্মাণ, দস্তকের অপব্যবহার প্রভৃতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। পক্ষান্তরে, এস. সি. হিল, সি. এ. বেইলি প্রমুখ নবাব সিরাজের অহমিকাবোধ, অর্থলোভ, কলকাতা আক্রমণ প্রভৃতিকে দায়ী করেছেন। এই বিতর্কই ‘পলাশির বিতর্ক’ নামে পরিচিত।
27. দ্বৈত শাসনব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দেওয়ানি লাভের ফলে কোম্পানি বাংলায় রাজস্ব আদায় ও দেওয়ানি বিচারের ভার পায়, আর নবাবের হাতে থাকে ফৌজদারি বিচার ও প্রশাসনিক দায়-দায়িত্ব। এইভাবে দেওয়ানি ও নিজামতের দায়িত্ব দুই আধিকারিকের হাতে থাকায় যে অভিনব শাসন ব্যবস্থার সূচনা হয়, তা ‘দ্বৈত শাসন’ নামে পরিচিত।
28. মহম্মদ রেজা খাঁ ও সিতাব রায় কারা?
উত্তর:- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর কোম্পানির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে মহম্মদ রেজা খাঁ বাংলার এবং সিতাব রায় বিহারের ‘নায়েব নাজিম’ পদে নিযুক্ত হন। তারা কোম্পানির স্বার্থরক্ষার যন্ত্রে পরিণত হন।
29. কর্নওয়ালিস কোড বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- ভারতে কোম্পানির কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা তথা ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে সুসংহত করার জন্য বড়োলাট লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে কিছু নিয়মাবলি প্রবর্তন ও বিধিবদ্ধ করেন। এটি ‘কর্নওয়ালিস কোড’ বা ‘কর্নওয়ালিস সংহিতা’ নামে পরিচিত।
30. আমিনি কমিশন কে কী উদ্দেশ্যে গঠন করেছিলেন?
উত্তর:- ওয়ানের হেস্টিংস ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে আমিনি কমিশন গঠন করেন।
উদ্দেশ্য : (i) জমির সঠিক পরিমাপ নির্ধারণ, (ii) পাঁচসালা বন্দোবস্তের ত্রুটি-বিচ্যুতি দূরীকরণ এবং (ii) নতুন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন সংক্রান্ত বিস্তৃত তথ্যানুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান।
31. শোর-গ্রান্ট বিতর্ক বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- লর্ড কর্নওয়ালিসের আমলে ভূমিরাজস্বের প্রকৃতি নিয়ে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। কোম্পানির রাজস্ব বিভাগের প্রধান স্যার জন শোর বলেন যে, মোগল আমলে জমিদাররাই ছিলেন জমির মালিক, তাই তাদের সঙ্গেই জমি বন্দোবস্ত করা উচিত। অন্যদিকে, কোম্পানির দলিল বিভাগের প্রধান গ্রান্ট বলেন যে, মোগল আমলে সরকার ছিলেন জমির মালিক, তাই সরকারী তত্ত্বাবধানেই জমির বন্দোবস্ত করা উচিত। এই বিতর্কই শোর-গ্রান্ট বিতর্ক নামে পরিচিত।
32. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পশ্চাতে কর্নওয়ালিসের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর:- (1)
বাৎসরিক বা সময়ানুক্রমিক নিলাম ব্যবস্থার ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি। (II) চিরকালীন। ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব লাভ এবং (III) কোম্পানির অনুগ্রহ পুষ্ট একটি অভিজাত শ্রেণি গড়ে তোলা, যারা সরকারের প্রধান সমর্থক রূপে কাজ করবে।
33. রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে স্যার টমাস মনরো ও ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার রিড দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় সরকার সরাসরি রায়ত বা কৃষকের সঙ্গে রাজস্ব বন্দোবস্ত করত, কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর সঙ্গে নয়। এই ব্যবস্থায় উৎপাদনের মোট খরচ বাদ দিয়ে যা বাকি থাকবে তার ৫০ শতাংশ রায়তদের ভূমিরাজস্ব হিসেবে নির্ধারিত হত। রায়ত সরাসরি সরকারের কাছে রাজস্ব প্রদান করত বলে এই ভূমিব্যবস্থা ‘রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত' নামে পরিচিত।
34. মহলওয়ারি বন্দোবস্ত বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- হোল্ট ম্যাকেঞ্জি ও এলফিনস্টোন ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লি অঞ্চলে মহলওয়ারি বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় কয়েকটি গ্রাম নিয়ে এক—একটি ‘মহল’ বা তালুক সৃষ্টি করা হত এবং কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে যৌথভাবে রাজস্ব দেবার শর্তে ওই মহলের ইজারা দেওয়া হত। ‘মহল’ ধরে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হত বলে এই ব্যবস্থা মহলওয়ারি বন্দোবস্ত নামে পরিচিত।
35. অবশিল্পায়ন বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- অবশিল্পায়ন হল শিল্পায়নের বিপরীত অবস্থা। পলাশির যুদ্ধের পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে কোম্পানির শোষণ ও নিপীড়ন, ব্রিটিশ পণ্যের অবাধ আমদানী, বৈষম্যমূলক শুল্ক নীতি প্রভৃতির ফলে চিরাচরিত ভারতীয় কুটির শিল্প ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে শিল্প নির্ভরতা হ্রাস পায় এবং কৃষি নির্ভরতা বৃদ্ধি পায়। অর্থনৈতিক ইতিহাসের বিশেষজ্ঞরা এই অবস্থাকে অবাশপায়ন' আখ্যা দিয়েছেন।
36. বক্সারের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর:- ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলার পলাতক নবাব মিরকাশিম ও তাঁর সহযোগী অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ্-দৌলা এবং দিল্লির মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সম্মিলিত বাহিনির সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
37. ‘অ্যাকওয়ার্থ কমিটি'র দুটি সুপারিশ উল্লেখ করো।
উত্তর:- ভারতীয় রেলব্যবস্থার উন্নতিকল্পে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার উইলিয়াম অ্যাকওয়ার্থের সভাপতিত্বে গঠিত ‘অ্যাকওয়ার্থ কমিটি’ যে সুপারিশ প্রদান করে, তাতে রেলব্যবস্থার উন্নতিকল্পে প্রতি পাঁচ বছরে ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ, দেশের সাধারণ বাজেট থেকে রেল বাজেটের পৃথকীকরণ, রেলপথের ওপর বেসরকারি নিয়ন্ত্রণের অবসান, সরকারি নিয়ন্ত্রণে রেলপথ নির্মাণ প্রভৃতির কথা বলা হয়।
38. নজরানা প্রথা বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- ‘স্বর্গীয় সাম্রাজ্যের অধীশ্বর’ রূপে চিনের সম্রাটের প্রতি বশ্যতা স্বীকারের নিদর্শন স্বরূপ কোরিয়া, আন্নাম, শ্যামদেশ, জাপান প্রভৃতি প্রতিবেশি দেশগুলির প্রতিনিধিরা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে চিনের সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে প্রচুর অর্থ বা উপঢৌকন প্রদান করতে বাধ্য থাকত। এটি নজরানা প্রথা নামে পরিচিত ছিল।
39. ক্যান্টন বাণিজ্যের অবসান কীভাবে ঘটেছিল?
উত্তর:- ক্যান্টন বাণিজ্যে আরোপিত নানা ধরনের কঠোর শর্ত ও অপমানজনক প্রথা সমানাধিকারের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বিদেশি জাতিগুলির কাছে প্রতিবন্ধকস্বরূপ ছিল। তাই তারা এই প্রথার অবসানে বদ্ধপরিকর ছিল। শেষপর্যন্ত প্রথম আফিম যুদ্ধে (১৮৩৯-৪২) চিনের পরাজয়ের ফলে ইংরেজরা চিনের উপর অপমানজনক নানকিং-এর সন্ধি (১৮৪২) চাপিয়ে দেয় এবং ক্যান্টন বাণিজ্যপ্রথার অবসান ঘটে।
40. চিনের শতাব্দীব্যাপী অবমাননা বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় একশত বছর ব্যাপী বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি ক্রমান্বয়ে চিনের উপর বিভিন্ন বৈষম্যমূলক চুক্তি চাপিয়ে দেয় ও চিন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শোষিত হতে থাকে। একেই চিনের প্রতি শতাব্দীব্যাপী অবমাননা বলা হয়।
41. সম্পদের বহির্গমন/'Drain of wealth’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর:- পলাশির যুদ্ধের পর থেকে, বিশেষত কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর থেকে কোম্পানি, কোম্পানির কর্মচারীরা এবং বেসরকারি ইংরেজ বণিকরা বাংলা থেকে নানান বৈধ-অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে স্বদেশে পাঠাতে থাকে। এইভাবে ভারত থেকে ব্যাপক হারে সম্পদ ইংল্যান্ডে চলে যাওয়াকে অর্থনৈতিক ইতিহাসের বিশেষজ্ঞরা সম্পদের বর্হিগমন’ আখ্যা দিয়েছেন।
42. চিনের রুদ্ধদ্বার নীতি কী ছিল?
উত্তর:- ‘স্বর্গীয় সাম্রাজ্যের অধীশ্বর' রূপে চিনের মাঞ্জু রাজবংশ বিদেশি সভ্যতা-সংস্কৃতিকে নিকৃষ্টতর মনে করে তাদের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ ত্যাগ করে চলত। নানাবিধ কঠোর ও অপমানজনক বিধি-নিষেধের প্রাচীর গড়ে তুলে বিদেশিদের থেকে নিজেদের স্বতন্ত্র রাখার এই চিনা মানসিকতা ‘চিনের রুদ্ধদ্বার নীতি’ নামে পরিচিত।
43. স্বত্ববিলোপ নীতি কী?
উত্তর:- ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ডালহৌসি—প্রবর্তিত স্বত্ববিলোপ নীতি বলতে বোঝায়, কোম্পানি সৃষ্ট কোনো দেশীয় রাজ্যের রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে সেই রাজ্য কোম্পানির অধিকারে আসবে, ওই রাজার কোনো দত্তক 'পুত্রের উত্তরাধিকার স্বীকার করা হবে না। তবে কোম্পানির আশ্রিত করদ রাজ্য এবং স্বাধীন দেশীয় রাজ্যের ক্ষেত্রে ওই নীতি প্রযুক্ত হবে না।
44. আইনের শাসন বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- ভারতভূমিতে প্রাচ্যদেশীয় স্বৈরশাসননীতির অবসান ঘটিয়ে পাশ্চাত্যের আধুনিক ও যুগোপযোগি ‘আইনের শাসন’ বা আইনের সমতা বিধান নীতির প্রবর্তন করেন লর্ড কর্ণওয়ালিস। ‘আইনের শাসন' বলতে বোঝায়—(ক) আইনের চোখে সকলেই সমান, (খ) কোন মানুষই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সকলেই আইনের অধীন, (গ) আইন হবে নিরপেক্ষ এবং সবাইকে তা সমানভাবে নিরাপত্তা দেবে, (ঘ) সরকারী আইন সকলকেই মেনে চলতে হবে প্রভৃতি। যদিও বহুক্ষেত্রেই ‘আইনের শাসন’ নীতির যথাযথ প্রয়োগ ঘটেনি।
45. এজেন্সি ব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তর:- কোম্পানি এদেশে প্রথম দিকে পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের জন্য কিছু ইংরেজ কর্মচারী তাদের অধীনস্থ ভারতীয় ফড়ে, দালাল ও পাইকারদের উপর নির্ভর করত। এই ব্যবস্থা বাতিল করে লর্ড কর্ণওয়ালিস ভারতের বিভিন্ন স্থানে কোম্পানির নিজস্ব এজেন্সি হাউস তৈরি করে কোম্পানির এজেন্টদের মাধ্যমে সরাসরি উৎপাদকদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। এই ব্যবস্থা এজেন্সি প্রথা নামে পরিচিত।
46. অন্ধকূপ হত্যার কাহিনিটি কতখানি বিশ্বাসযোগ্য?
উত্তর:- হলওয়েল-প্রচারিত অন্ধকূপ হত্যার কাহিনিটি বিশ্বাসযোগ্য নয়, কেননা (ক) একটি ১৮ ফুট লম্বা ও ১৪ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়া ক্ষুদ্র ঘরের মধ্যে ১৪৬ জন বন্দিতে আটক রাখা সম্ভব নয়; (খ) মৃত ১২৩ জন বন্দির নামের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকেই আগের দিন যুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন, (গ) সমকালীন পত্র-পত্রিকায় এই ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই। নবাবের চরিত্র হনন এবং নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি ঢাকবার জন্যই ইংরেজ কর্মচারী হলওয়েল এই কাহিনির অবতারণা করেছেন।
47. মিরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধের দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর:- ইঙ্গ-কাশিম বিরোধের প্রধান কারণ ছিল—(ক) ইংরেজের প্রভাব ও কর্তৃত্বমুক্ত হয়ে মিরকাশিমের স্বাধীনভাবে রাজত্ব করার প্রচেষ্টা, যথা—মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তর, ইউরোপীয় কায়দায় সেনাবাহিনীর সংগঠন, ফরাসি সেনাপতি নিয়োগ প্রভৃতি, (খ) ইংরেজ কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অভ্যন্তরীন বাণিজ্য ও দস্তকের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে মিরকাশিমের প্রতিবাদ এবং দেশীয় বণিকদের ওপর থেকে বাণিজ্যশুষ্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত।
48. ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দকে কে ‘ভারতের ইতিহাসে জলবিভাজিকা' বলেছেন এবং কেন?
উত্তর:- ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে মারাঠা সাম্রাজ্যের পতনের ফলে ভারতে ইংরেজদের সবচেয়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর অবসান ঘটে এবং ভারতে ইংরেজ শক্তি অপ্রতিহত হয়ে ওঠে। ভারতে স্থাপিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের পর ‘ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে’ পরিণত হয়। তাই ঐতিহাসিক স্পিয়ার ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দকে ভারত ইতিহাসের ‘জলবিভাজিকা’ বলেছেন
49. ভারতের ইতিহাসে ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর:- (ক) ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারত ও চিনে বাণিজ্যিক অধিকার বিলুপ্ত হয় এবং কোম্পানি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। (খ) বাংলার গভর্নর জেনারেলকে এখন থেকে ‘ভারতের গভর্নর জেনারেল’ উপাধি দিয়ে তাঁর হাতে কোম্পানির ভারত সাম্রাজ্যের পূর্ণ কর্তৃত্ব অর্পন করা হয়।
50. অতিরাষ্ট্রিক অধিকার' বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- ‘অতিরাষ্ট্রিক অধিকার’ হল এমন এক কূটনৈতিক রক্ষাকবজ, যার সাহাযে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিক বিদেশে বসবাস করা সত্ত্বেও বিদেশি আইনের আওত থেকে মুক্ত থাকেন এবং স্বদেশীয় আইন ও বিচারব্যবস্থার অধীনেই শাসিত হন। উনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে মাঞ্জু শাসনাধীন চিন প্রথমে ইংল্যান্ড এবং পরে ফ্রান্স, পোর্তুগাল প্রভৃতি ইউরোপীয় রাষ্ট্রকে নিজ সার্বভৌমত্ব হরনকারী এই অধিকার প্রদানে বাধ্য হয়।
Join Telegram channel
Free Notes
Join Whatsapp channel Free Notes
Higher
Secondary History Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (Class 12th)
History Qustion and Answer
উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস সাজেশন – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন
ও উত্তর ” উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ
টপিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class
Twelve XII / WB Class 12 / WBCHSE / Class 12 Exam / West Bengal Board of Secondary
Education – WB Class 12 Exam / Class 12 Class 12th / WB Class 12 / Class 12 Pariksha ) এখান
থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী ।
সে কথা মাথায় রেখে
Www.tarakexamcenter.in এর
পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস
পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন
ও উত্তর ( উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন / উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর ।
Higher
Secondary History Suggestion
HS History Suggestion
/ HS History Question and Answer / Class 12 History Suggestion / Class 12
Pariksha History Suggestion / History
Class 12 Exam Guide / MCQ , Short ,
Descriptive Type Question and
Answer / HS History Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা
করা হলাে। ছাত্রছাত্রী,
পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন
ও উত্তর (HS History Suggestion /
West Bengal Twelve XII Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 12th
History Suggestion / HS History Question
and Answer / Class 12 History
Suggestion / Class 12 Pariksha
Suggestion / HS History Exam Guide / HS History Suggestion 2022, 2023, 2024,
2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / HS
History Suggestion MCQ , Short ,
Descriptive Type Question and Answer. /
HS History Suggestion FREE PDF Download)
সফল হবে।
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয়
অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের
প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর
| ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি :
নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) HS History Question and
Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও
উত্তর – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর। ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
| উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
| ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি :
নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) HS History Question and
Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও
উত্তর – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয়
অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের
প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
| ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি :
নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) HS History Question and
Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও
উত্তর – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন
উত্তর | Higher Secondary
History উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস (Higher Secondary
History) – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি
: নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর
| ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি :
নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | Higher Secondary History
Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস
প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন
উত্তর।
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি
: নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | HS History Question
and Answer Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
– ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি :
নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস
প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও
উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস সহায়ক – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন
ও উত্তর । HS History Question and Answer, Suggestion | HS
History Question and Answer Suggestion |
HS History Question and Answer Notes |
West Bengal HS Class 12th History Question and Answer Suggestion. উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 History Question and
Answer, Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও
উত্তর – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন
ও উত্তর | ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) । HS History Suggestion.
WBCHSE
Class 12th History Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি
: নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়)
WBCHSE HS History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক
আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন
ও উত্তর ।
ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | HS History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
– ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি :
নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ও উত্তর ।
HS History Question and Answer Suggestions
| উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও
উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
HS History Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
– ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি :
নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস
প্রশ্ন ও উত্তর HS
History Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন
ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী
প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class
12 History Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি
: নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও
উত্তর – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন
ও উত্তর । HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর। West Bengal Class 12 History Suggestion Download WBCHSE Class 12th History short
question suggestion . HS History
Suggestion download Class 12th Question
Paper History. WB Class 12 History suggestion and important question and
answer. Class 12 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ
দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য
সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের
প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। উচ্চমাধ্যমিক
ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
HS
History Question and Answer
Get the HS History Question and Answer Question and Answer
by Www.tarakexamcenter.in HS
History Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject
teachers. WB Class 12 History Suggestion
with 100% Common in the Examination . Class Twelve XII History Suggestion |
West Bengal Board WBCHSE Class 12 Exam HS
History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBCHSE Class 12 Twelve
XII History Suggestion is provided here.
HS History Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link
in Free has been given below.
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয়
অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer
অসংখ্য
ধন্যবাদ সময় করে আমাদের
এই ” উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত
ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন
ও উত্তর | HS History Question
and Answer ” পড়ার জন্য। এই
ভাবেই Www.tarakexamcenter.inওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো
প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই
ওয়েবসাইট টি ফলাে করো
এবং নিজেকে তথ্য
সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।